Islam

বিসমিললাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
ইসলাম:
ইসলাম সত্য র্ধম। ইসলাম শান্তির র্ধম। ইসলামের মূল বিধান/ভিত্তি হল কোরআন। আল্লাহ পাক পৃথিবী, মানুষ, জীন, ফেরেসতা, সব কিছু সৃষ্টি করেছেন তার এবাদতের জন্য। আল্লাহ পাক কোরআনে বলেছেন, “ইসলাম সত্য ধর্ম”। যে কোরআন আল্লাহ তাআলা মানুষের কল্যাণের জন্য নবীর মাধ্যমে প্রেরণ করেছেন। যে নবীকে সৃষ্টি না করলে পৃথিবী ও মানুষ কোন কিছু সৃষ্টি করা হত না। যে নবীর উম্মত আমরা। যে নবী র্সব শ্রেষ্ট নবী ও রাসূল, সর্ব শ্রেষ্ট মানুষ, সাইয়েদুল মুরসালিন, রাহমাতুল্ল্লি আলামিন বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ)। বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর কোরআন অবর্তীণ হয়। বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এর নাম শোনার সাথে সাথে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে হয়। যারা আল্লাহর হুকুম মান্য করবে এবং সৎ পথে চলবে তাদের জন্য রয়েছে পরম সুখের জায়গা জান্নাত। যারা আল্লাহর হুকুম অমান্য করবে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন কষ্টের জায়গা জাহান্নাম। 
 তাওবা: আল্লাহর হুকুম অমান্য করার পর বা গুণা করার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হয়। এটার অর্থ হল আপনাকে চুখের পানি ফেলে, আল্লাহর উপর বিশ্বাস করে, ভবিষ্যতে ঐ ধরনের গুণা বা অপরাধ করবেন না বলে প্রতিজ্ঞা কওে আল্লাহর কাছে মোনাজাতের মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়া।
নামাজ: প্রত্যেক মুসলমানকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের হিসাব দিতে হবে আল্লাহর কাছে।
মুসলমান: মুসলমান তাদেরকে বলা হয় যারা নামাজ পড়ে ও কায়েম করে, রমযান মাসে রোজা রাখে, যাকাত প্রদান করে, সম্ভব হলে হজ্জ পালন করে, সৎ পথে উপার্জন করে, সত্য কথা বলে। জন্মসূত্রে মুসলমানের ঘরে জন্মালে আপনি নিজেকে পরিপূর্ণ মুসলমান বলতে পারবেন না, যদি আপনি সৎ পথে চলতে না পারেন। মুসলমান হলে পরির্পূণ মুসলমান হতে হবে এবং পরির্পূণ ইসলামে প্রবেশ করতে হবে।
ঈমান: প্রত্যেক মানুষের কাছে সব চাইতে বেশি দামি তার নিজ প্রাণ/জীবন। একজন প্রকৃত মুসলমানের জন্য জীবনের চেয়ে ১০০০ গুণ বেশি দামী হল ঈমান। যদি আপনার কিছুটা ঈমান থাকে ভাল কাজ করার পর আনন্দ হবে এবং ভাল কাজ করার আগ্রহ হবে, মন্দ/খারাফ কাজ করার পর মনে অনুসূচনা হবে ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে ইচ্ছা করবে। ঈমানের বিভিন্ন মাত্রা আছে। আপনার ঈমান কতটুকু মজবুত তা আপনার ভাল কাজে প্রমান পাবেন এবং আল্লাহর হুকুম কতটুকু পালন করছেন তার উপর।        
কেয়ামত: একদিন কেয়ামত হবে, পৃথিবী ধংস হবে আল্লাহর হুকুম যে দিন হবে। মানুষকে আবার জীবিত করা হবে।
হাসর: কেয়ামতের পর হাসরের ময়দানে সবাইকে ৫০ হাজার বছর দাড়িয়ে থাকতে হবে। সূর্য্য ৭ হাত উপরে থাকবে। এই কষ্টকর হাসরের ময়দানে জান্নাতী নেক্কার বান্দারা শান্তি পাবে। কেউ যদি আল্লাহ, রাসুল মুহাম্মদ (সাঃ), কেয়ামত, হাসর, জান্নাত, জাহান্নাম এই সব বিশ্বাস না করে তার ঈমান থাকবে না এবং সে মুসলমান হতে পারবে না।  
ভাগ্য: ভাগ্যের উপর বিশ্বাস থাকতে হবে। পৃথিবীতে মানুষকে আল্লাহ পাক পরিক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। ভাল কিছ হলে আল্লাহর কাছে শোকরিয়া করুন এবং খারাফ কিছু হলে ধর্য্য ধারন করুন।
নিয়ত: নামাজ, রোজা, যাকাত, হজ্ব, দান-খয়রাত যা করেন সব নিয়ত করবেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে। মানুষকে দেখানোর নিয়ত থাকলে সাওয়াব পাবেন না এবং এবাদত কবুল হবে না।
প্রার্থনা: যা চাইবেন সব সময় নামাজ পড়ে হাত তোলে আল্লাহর কাছে চান (মসজিদে বসে)। মাজারে গিয়ে চাওয়ার প্রয়োজন নেই। মাজারে কখনো সেজদা করবেন না। এটি শিরিক গুণা যার ক্ষমা নেই। দান করুন গরিব মানুষদের এবং মসজিদে। মাজারে দান করার প্রয়োজন নেই।
কোরআন: কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআন সর্বশ্রেষ্ট আসমানী কিতাব যা মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর অবর্তীণ হয়। কোরআন নিয়ে কেউ বেয়াদবি করলে শাস্তি হবে ভয়াবহ। কোরআনে ৬৬৬৬ টি আয়াত এবং ১১৪ টি সূরা।
মৃত্য: প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যু বরণ করতে হবে, এটা স্মরন রাখুন। আল্লাহর হুকুম পালন করে নেককার হলে মরতে পারলে আপনার মৃত্যু সহজ হবে। আল্লাহর হুকুম অমান্য করে বদকার হয়ে মরলে আপনার মৃত্যু হবে ভয়াবহ কষ্টের।
শয়তান: মানুষকে ভাল কাজ থেকে দূরে শয়তান। খারাফ কাজ এবং গুণা থেকে বাচুন। শয়তান থেকে দূরে থাকতে বেশি বেশি এসতাগফার/আসতাগফিরুল্লাহ পড়–ন।
কবর: মৃত্যু পরে কবরে যেতে হবে। চিন্তা করুন অ›ধকার কবরে একা কিভাবে থাকবেন। আপনি জান্নাতী হলে কবরে ঘুমাবেন। আর জাহান্নামী হলে আপনার কবরে আগুন জ্বলবে।

Islam and Aim in life



জিহাদ: দীন (ইসলাম) প্রতিষ্টার জন্য লড়াই করা বা জিহাদ করা ফরজ। আর এউ জিহাদে অংশ গ্রহণ করে কেউ মারা গেলে সে শহিদ হবে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন - “আমার ইচ্ছা করে জিহাদ করে শহিদ হই, আবার যদি জিন্দা হতে পারি আবার জিহাদ করে শহিদ হই, আবার ও যদি জিন্দা হতে পারি আবার জিহাদ করে আবার শহিদ হই। সুতারাং শহিদের মর্যাদা অনেক বেশি।

নাস্তিকের ইসলাম গ্রহণের কাহিনি: ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর সাথে এক নাস্তিকের তর্ক-বিতর্ক করার সময় ও স্থান ঠিক হল। তিনি সেখানে দেরিতে পৌছলেন। নাস্তিক বলল-“আপনি দেরি করেছেন”। ইমাম বললেন- “আমি আসার সময় সামনে একটা নদী পড়ল। নদীতে কোন নৌকা ছিল না। হঠাৎ একটা গাছ আপনাআপনি ভেঙ্গে পড়ল। গাছটি নিজে নিজে কেটে তকথা হয়ে এমনিতে আপনাআপনি তকথা জুড়া লেগে একটি নৌকা হল। আমি নৌকায় উঠলাম। নৌকাটি আপনাআপনি চলে আমাকে অপর পাড়ে পৌছে দিল। তাই আসতে দেরি হয়েছে”। নাস্তিক বলল- “গাছ কিভাবে কারো মাধ্যম ছাড়া আপনাআপনি কেটে তকথা হয়ে আপনাআপনি নৌকা তৈরি হবে? এটা অসম্ভব”। ইমাম বলল- “তাহলে তোমার মত মানুষ কিভাবে কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আপনাআপনি মায়ের পেটে আসল? কিভাবে দুনিয়ায় জন্ম নিলে বড় হলে? সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কিভাবে পৃথিবী, চাদঁ, সূর্য্য সৃষ্টি হল?”। নাস্তিকের চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে এল। সাথে সাথে নাস্তিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করল।  

মানুষের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য:
আসসালামু আলাইকুম। প্রত্যেক মানুষের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্যেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং আল্লাহকে খুশি করা। আপনার জীবনে এমন পেশা নির্ধারণ করার চেষ্টা করুণ যা আল্লাহ খুশি হয় এবং ইসলাম বীরুধি না হয়। আপনার কাজে এবং উর্পাজনে সৎ থাকার চেষ্টা করুন। এতে আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হবেন। আপনার উর্পাজন কম হতে পারে, কিন্তু আপনি শান্তি পাবেন দুনিয়া ও আখিরাতে ইনসাআল্লাহ।      

উপসংহার: ইসলাম সত্য ধর্ম। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম প্রকৃত ধর্ম। ইসলাম সর্ম্পকে জানুন। আল্লাহর সৃষ্টি ও রাসুল (সাঃ) সর্ম্পকে জানুন। কোরআন সর্ম্পকে জানুন, শিখুন, অনুসরন করুন। প্রকৃত মুসলমান হওন।

Online earning

  অনলাইনে উর্পাজন: অনলাইনে উর্পাজন করার বিভিন্ন উৎস আছে। বাংলাদেশের মত দেশে যেখানে চাকরির সংকট সেই সব দেশের জনগনের জন্য অনলাইনে উর্পাজন বেশ গুরুত্তর্পূণ। প্রথমত, আপনাকে জানতে হবে কি ভাবে উর্পাজন করা যায়। এর জন্যে আপনাকে ইন্টারনেট সর্ম্পকে কিছুটা ব্যবহার জানতে হবে। যে সব প্রতিষ্টান এই ধরনের বিষয়ে শেখান তাদের সহযোগিতা নিতে পারেন। আউটর্সোসিং এর কাজ করার জন্য যুবক যুবতীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আউটর্সোসিংয়ের বিভিন্ন কাজ রয়েছে, যেমন- ডাটা এন্ট্রি, ওয়েবসাইট তৈরির কাজ, গ্রাফিক ডিজাইন, গেইম তেরী ইত্যাদি। কোন কাজ আপনার জন্য উপযুক্ত বা কোন কাজে আপনি দক্ষ, তা র্নিধারন করে শুরু করুন। কাজ না বুঝে কাজ গ্রহন করবেন না। সঠিক ভাবে কাজ সম্পন্ন না করলে আপনার কাজ বাতিল করে দিতে পারে। তাদের কাজ গুলো ইংরেজীতে বলা থাকবে, আপনাকে ইংরেজী বুঝতে হবে। আপনি নিজের নামে একটা ওয়েবসাইট কিনে সেটাতে বিভিন্ন প্রতিষ্টানের বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করতে পারেন। আউটর্সোসিং এর কাজের ওয়েবসাইট হল: www.upwork.com

বাংলাদেশ: আমাদের দেশ বাংলাদেশ। প্রত্যেক সুনাগরিকের দায়িত্ব হল নিজ দেশের উন্নতি ও মঙ্গল কামনা করা। দেশের উন্নতি নির্ভর করে মানুষের উপর। সরকার একার পক্ষে সম্ভব নয়। দেশের জনগনকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত গতে হবে। বাংলাদেশে ৬৪টি জেলা। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী, চট্টগ্রাম বানিজ্যিক রাজধানী। এর আয়তন ১,৪৭,৫৭০ র্বগ কিলোমিটার। রয়েছে সুন্দর জায়গা: (বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত) কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, সুন্দরবন। বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্তাসর্চজ্য নির্বাচনে সুন্দরবনকে ভোট দিন ওয়েবসাইট, শিক্ষা মানুষকে নীতি, আদর্শ, সত্যনীষ্ঠা হতে শেখায়। জীনিস পত্রের দাম কম লাভে বিক্রি করুন। দেশ ও মানুষের কল্যানে অবদান রাখুন। আল্লাহ আপনার ব্যবসায়ে বরকত দিবেন। যেখানে সেখানে গাড়ি পাকিং করবেন না, এতে মানুষের যাতাযাতে কষ্ট হয়। অযথা মানুষকে গালি দিবেন না, মানুষের সাথে ঝগড়া করবেন না। মেযে/মহিলাদেরকে রাস্তায় বা ফোনে বিরক্ত করবেন না । তারা আপনার মা-বোনের মত। ঘুষ ও সুদ বর্জন করার চেষ্টা করুন। বিয়ের পরে পরিবার পরিকল্পনা করুন। বেকার বসে না থেকে, কোন কাজ ছোট মনে না করে, নিজেই নিজের কমসংস্থান সৃষ্টি কওে উপার্জন করুন।          

Others bangla

শিক্ষা: জ্ঞান অর্জন করা সবার জন্য ফরজ। শিক্ষা মানুষকে নীতি, আর্দশ, চরিত্রবান মানুষ হতে সাহায্য করে। পড়ালেখার বিভিন্ন ভাবে করতে পারেন। কেউ বাংলা ও ইংরেজী পড়ছে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবার কেউ কোরআন হাফেজ-মাওলানা হতে মাদ্রাসায় পড়ছে। কোরআন হাফেজ-মাওলানা হতে পারলে দুনিয়া ও আখিরাতে লাভবান হবেন। অথবা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে আপনি হতে পারেন ডাক্তার, প্রকোশলী/ইনজিনিয়ার, চার্টাট একাউন্টেট, শিক্ষক, ব্যাংকার ইত্যাদি। 
প্রথমত আপনাকে জে.এস.সি, এস.এস.সি, এইচ.এস.সি তে ভাল রেজাল্ট করতে হবে। এর পর আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি কি হবেন। ডাক্তার হতে চাইলে আপনাকে ৯ম-১২তম শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে হবে। এর পর সরকারী মেডিকেল (যেমন: ঢাকা মেডিকেল, চট্টগ্রাম মেডিকেল) গুলোতে পরিক্ষা দেন। সরকারী মেডিকেলে চান্স/সুজুক না পেলে আপনি বেসরকারী কোন ভাল প্রতিষ্টানে পরিক্ষা দেন। তবে বেসরকারীতে পড়লে আপনার যতেষ্ট ব্যয় হবে। (ব্যাংকের চাকরির জন্য ভাল) বিবিএ, এমবিএ করতে চাইলে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পরিক্ষা দেন। সরকারীতে চান্স না পেলে ভাল কোন বেসরকারী প্রতিষ্টানে পড়–ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ তে পরিক্ষা দেন, আর চান্স পেলে আপনি সুভাগ্যবান। নরমাল অর্নাস বা ডিগ্রি বা বিবিএ করে আপনি চাটার একাউন্টেট ফার্ম বা প্রতিষ্টানে পড়তে পারেন। ইনজিনিয়ার/প্রকোশলি হতে সরকারী প্রতিষ্টান (যেমন: বুয়েট, চুয়েট) গুলোতে ভর্তি পরিক্ষা দেন। চান্স না হলে বেসরকারী ভাল প্রতিষ্টানে ঊঊঊ পড়েন। বিদেশে পড়তে চাইলে ব্রিটিশ একাডেমীতে একটা পরিক্ষা দেন। এতে ৬ পয়েট তোলতে পারলে এমব্রেসি থেকে ভিসা পেলে সহজে বিদেশ যেতে পারবেন। বিদেশে পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করে উর্পাজন করতে পারবেন।   
বিজ্ঞাপন: বিজ্ঞাপন যা পন্য ও প্রতিষ্টানের পরিচিত বাড়ায়। বিজ্ঞাপন দ্বারা পণ্যের বিক্রয় বাড়ে। কথায় আছে, প্রচারেই প্রসার। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গুলো হল- পত্রিকা, টেলিভিশন, ইন্টারনেট, লিপলেট, হ্যান্ডবিল, ব্যানার ইত্যাদি। র্বতমান আধুনিক যুগে ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসার হয়েছে। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের নতুন পন্য ও প্রতিষ্টান সর্ম্পকে সহজে বিশ্বের সকল দেশে পপরিচিতি লাভ করা যায়। ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।
ধর্ম: প্রত্যেক মানুষের উচিত নিজের ধর্ম সর্ম্পকে জানা। সত্য ধর্ম যাচায় করা। আল্লাহ পাক মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছে, বিবেক বুদ্ধি দিয়েছে। তা দিয়ে যাচাই করতে হবে সত্য ধর্ম। যিনি বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেছেন তার উদ্দেশ্য যে বিদ্যুৎ দিয়ে বাতি জলবে, ফ্যান চলবে। তেমনি আল্লাহ পাক মানুষ সৃষ্টি করেছেন তার এবাদাত এবং তার হুকুম পালন করার জন্যে। আল্লাহর সৃষ্টি সর্ম্পকের জানুন যিনি এত সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, মানুষ সৃষ্টি করেছেন।
মাতা পিতা: মাতা পিতার মর্যাদা অনেক বেশি। যারা এই সুন্দর পৃথিবীতে আপনাকে জন্ম দিয়েছিলেন। মা, দশ মাস সন্তান পেটে রেখে প্রসব করেছেন অনেক কষ্টে। সন্তান পেটে থাকার কারনে ঠিক মত ঘুমাতে পারে না, তাই রাতভর এবাদত করলে যে সওয়াব তা মায়ের আমল নামায় লেখা হয় এবং খেতে পারে না বলে ১০ মাস রোজা রাখার সওয়াব দেয়া হয়। মা ছোট কাল থেকে আপনাকে বুকের দুধ খাওয়ায়ে আপনাকে লালন পালন করে বড় করেছেন। এমন মায়ের সাথে নাফরমানি/বিয়াদবী করবেন না। মাকে কষ্ট দিবেন না। পিতা, মাথার ঘাম পায়ে পেলে কষ্ট করে উর্পাজন করে আপনার পড়ালেখার খরচ দিয়েছেন, আপনার চাহিদা মিটেয়েছেন। তাদের মনে কষ্ট দেবেন না। মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেসত/জান্নাত। অপরাধ করলে মাতা পিতার কাছে ক্ষমা চাইবেন। আল্লাহর এবাদত, রাসুল (সাঃ) এর প্রতি মহাব্ব্তের পরে মাতা পিতার স্থান। আল্লাহর কাছে মাতা পিতার জন্য দোয়া করুনÑ “রাববির হামহুমা কামা রাববায়ানি চাগির”।
স্বামী স্ত্রী: আল্লাহ পাক মানুষকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। যার ভাগ্যে যার সাথে লেখা থাকবে তার সাথে বিয়ে হবে। স্ত্রীর দায়িত্ব স্বামীর সেবা করা, সম্মান ও শ্রদ্ধা করা। স্বামীর অবাধ্য হতে পারবে না। স্বামীর কর্তব্য স্ত্রীকে স্নেহ করা ও ভালবাসা। স্ত্রীকে পর্দাশীল রাখা। স্বামী স্ত্রী ব›ধুর মত। বিয়ে করলে আল্লাহর অর্ধেক হুকুম পালন হয়।
ব্যবসা: আল্লাহ পাক ব্যবসাকে হালাল করেছেন। তবে সেটি ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বৈধ ব্যবসা হতে হবে। ব্যবসা হল যেখানে অর্থ দেওয়া হবে এবং নিজের শ্রম জড়িত থাকবে। শ্রম ও অর্থ দিয়ে উপার্জন করা হল ব্যবসা।
সুদ জঘন্য গুণা তাই সুদি ব্যবসা করবেন না। পরের অধিনে পরাধিন হয়ে চাকরি করার চেয়ে ভাল অল্প পুজিতে ব্যবসা করা। যতেষ্ট র্ধয্য, সাহস, মনোবল, সাদনা, ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম এর মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে সাফল্যের প্রান্তে নিয়ে যেতে পারবেন। ব্যবসায়ে ঝুকি আছে, লস/ক্ষতি হলে মনোবল হারাবেন না। আপনি একজন উদ্যোক্তা। সফলতা অবস্যই আসবে। আপনি দিতে পারেন: গারমেন্ট ফেকটরি, ইন্ডাষ্টি, দোকান, ডেভেলাফার কোম্পানি ইত্যাদি।
স্বাস্থ্য: স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। আপনার স্বাস্থ্য ভাল থাকলে আপনার সব কিছু শান্তি লাগবে। শরির অসুষ্ট থাকলে আপনার কিছু ভাল লাগবে না। নিয়মিত পরিমান মত খাবার খান। অতিরিক্ত এবং তৈলাক্ত খাবার খাবেন না।
পাখি ও প্রাণী: পাখি প্রাণি/পশু সব আল্লাহর সৃষ্টি। কোন জীব আপনার ক্ষতি না করলে, আপনি তাদেও ক্ষতি করবেন না।

Mohammad (S.)

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী : বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জন্মগ্রহন করেন ৫৭০ খৃষ্টাব্দে। বিশ্বনবী (সাঃ) এর মাতার নাম আমিনা এবং পিতার নাম আবদুল্লাহ। বিশ্বনবী মানুষ হলেও তিনি নূরের তৈরি। আর সকল মানুষ মাটির তৈরি। বিশ্বনবীর উত্তম চরিত্র ছিল। যার জন্য এই পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে, যার নাম আল্লাহ তাআলার নামের পাশে, যিনি আল্লাহর ব›ধু, আল্লাহর পরে যার অবস্থান, যিনি আমাদের রাসুল তিনি সাইয়েদুল মুরসালিন রহমাতুল্লিল আলামিন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। বিশ্বনবীর ছায়া ছিল না। রাসুল (সাঃ) এর দুধমা/দাত্রিমা হালিমা। ছোট বেলা থেকে তিনি শান্তশিষ্ট ছিলেন। রাসুল (সাঃ) এর জন্মের পরে পিতা মারা যায় এবং ছয় বছর বয়সে মাতাকে হারান। এর পর দাদা আবদুল মোতালেব বিশ্বনবীকে লালন পালন করেন। রাসুল (সাঃ) এর আট বছর বয়সে দাদাকে হারান। এর পর চাচা আবু তালেব রাসুল (ষাঃ) কে লালন পালন দায়িত্ব নেন। রাসুল (সাঃ) মরভূমিতে মেষ চরাতেন। পরে তিনি চাচার সাথে ব্যবসায়ের কাজে জড়িত হন। রাসুল (সাঃ) এর সত্যবাদিতার জন্য লোকে উনাকে “আল আমিন” বলে ডাকত।  আল আমিন অর্থ বিস্বাশী। রাসূল (সাঃ) ছিলেন অত্যান্ত সুন্দর। রাসুল (সাঃ) এর ব্যবহার ছিল কোমল। হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তিনি উনার ব্যবসায়ে একজন প্রতিনিধি হিসাবে রাসুল (সাঃ) কে নিযুক্ত করেন। রাসুল (সাঃ) এর কাজের সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায় নিষ্টা ও কোমল চরিত্র হযরত খাদিজা (রাঃ) কে মুগ্ধ করে। তিনি রাসুল (সাঃ) কে বিয়ে করার জন্যে প্রস্তাব পাঠান। খাদিজা (রাঃ) এর আগে একটা বিয়ে করেন এবং ঐ স্বামী মারা যায়। খাদিজা (রাঃ) এর বয়স ছিল ৪০ বছর এবং রাসুল (সাঃ) এর ২৫ বছর বয়স। চাচার অনুমতি নিয়ে রাসুল (সাঃ) বিয়ে  করেছেন খাদিজা (রাঃ) কে। রাসুল (সাঃ) মানুষের কল্যানের জন্যে হেরা গুহায় অনেক দিন ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ছিলেন। তিনি চিন্তা করতেন, “কে আমাকে সৃষ্টি করেছেন? কে এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন? কে মানুষ, পৃথিবী, চাদঁ, সূর্য্য সৃষ্টি করেছেন এবং কেন? হঠাৎ একদিন জীবব্রাইল (আঃ) যিনি আল্লাহর ফেরেসতা তিনি ওহি নিয়ে আসলেন রাসুল (সাঃ) এর কাছে।  চলবে...........