বিসমিললাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
ইসলাম:ইসলাম সত্য র্ধম। ইসলাম শান্তির র্ধম। ইসলামের মূল বিধান/ভিত্তি হল কোরআন। আল্লাহ পাক পৃথিবী, মানুষ, জীন, ফেরেসতা, সব কিছু সৃষ্টি করেছেন তার এবাদতের জন্য। আল্লাহ পাক কোরআনে বলেছেন, “ইসলাম সত্য ধর্ম”। যে কোরআন আল্লাহ তাআলা মানুষের কল্যাণের জন্য নবীর মাধ্যমে প্রেরণ করেছেন। যে নবীকে সৃষ্টি না করলে পৃথিবী ও মানুষ কোন কিছু সৃষ্টি করা হত না। যে নবীর উম্মত আমরা। যে নবী র্সব শ্রেষ্ট নবী ও রাসূল, সর্ব শ্রেষ্ট মানুষ, সাইয়েদুল মুরসালিন, রাহমাতুল্ল্লি আলামিন বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ)। বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর কোরআন অবর্তীণ হয়। বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এর নাম শোনার সাথে সাথে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে হয়। যারা আল্লাহর হুকুম মান্য করবে এবং সৎ পথে চলবে তাদের জন্য রয়েছে পরম সুখের জায়গা জান্নাত। যারা আল্লাহর হুকুম অমান্য করবে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন কষ্টের জায়গা জাহান্নাম।
তাওবা: আল্লাহর হুকুম অমান্য করার পর বা গুণা করার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হয়। এটার অর্থ হল আপনাকে চুখের পানি ফেলে, আল্লাহর উপর বিশ্বাস করে, ভবিষ্যতে ঐ ধরনের গুণা বা অপরাধ করবেন না বলে প্রতিজ্ঞা কওে আল্লাহর কাছে মোনাজাতের মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়া।
নামাজ: প্রত্যেক মুসলমানকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের হিসাব দিতে হবে আল্লাহর কাছে।
মুসলমান: মুসলমান তাদেরকে বলা হয় যারা নামাজ পড়ে ও কায়েম করে, রমযান মাসে রোজা রাখে, যাকাত প্রদান করে, সম্ভব হলে হজ্জ পালন করে, সৎ পথে উপার্জন করে, সত্য কথা বলে। জন্মসূত্রে মুসলমানের ঘরে জন্মালে আপনি নিজেকে পরিপূর্ণ মুসলমান বলতে পারবেন না, যদি আপনি সৎ পথে চলতে না পারেন। মুসলমান হলে পরির্পূণ মুসলমান হতে হবে এবং পরির্পূণ ইসলামে প্রবেশ করতে হবে।
ঈমান: প্রত্যেক মানুষের কাছে সব চাইতে বেশি দামি তার নিজ প্রাণ/জীবন। একজন প্রকৃত মুসলমানের জন্য জীবনের চেয়ে ১০০০ গুণ বেশি দামী হল ঈমান। যদি আপনার কিছুটা ঈমান থাকে ভাল কাজ করার পর আনন্দ হবে এবং ভাল কাজ করার আগ্রহ হবে, মন্দ/খারাফ কাজ করার পর মনে অনুসূচনা হবে ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে ইচ্ছা করবে। ঈমানের বিভিন্ন মাত্রা আছে। আপনার ঈমান কতটুকু মজবুত তা আপনার ভাল কাজে প্রমান পাবেন এবং আল্লাহর হুকুম কতটুকু পালন করছেন তার উপর।
কেয়ামত: একদিন কেয়ামত হবে, পৃথিবী ধংস হবে আল্লাহর হুকুম যে দিন হবে। মানুষকে আবার জীবিত করা হবে।
হাসর: কেয়ামতের পর হাসরের ময়দানে সবাইকে ৫০ হাজার বছর দাড়িয়ে থাকতে হবে। সূর্য্য ৭ হাত উপরে থাকবে। এই কষ্টকর হাসরের ময়দানে জান্নাতী নেক্কার বান্দারা শান্তি পাবে। কেউ যদি আল্লাহ, রাসুল মুহাম্মদ (সাঃ), কেয়ামত, হাসর, জান্নাত, জাহান্নাম এই সব বিশ্বাস না করে তার ঈমান থাকবে না এবং সে মুসলমান হতে পারবে না।
ভাগ্য: ভাগ্যের উপর বিশ্বাস থাকতে হবে। পৃথিবীতে মানুষকে আল্লাহ পাক পরিক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। ভাল কিছ হলে আল্লাহর কাছে শোকরিয়া করুন এবং খারাফ কিছু হলে ধর্য্য ধারন করুন।
নিয়ত: নামাজ, রোজা, যাকাত, হজ্ব, দান-খয়রাত যা করেন সব নিয়ত করবেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে। মানুষকে দেখানোর নিয়ত থাকলে সাওয়াব পাবেন না এবং এবাদত কবুল হবে না।
প্রার্থনা: যা চাইবেন সব সময় নামাজ পড়ে হাত তোলে আল্লাহর কাছে চান (মসজিদে বসে)। মাজারে গিয়ে চাওয়ার প্রয়োজন নেই। মাজারে কখনো সেজদা করবেন না। এটি শিরিক গুণা যার ক্ষমা নেই। দান করুন গরিব মানুষদের এবং মসজিদে। মাজারে দান করার প্রয়োজন নেই।
কোরআন: কোরআন আল্লাহর বাণী। কোরআন সর্বশ্রেষ্ট আসমানী কিতাব যা মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর অবর্তীণ হয়। কোরআন নিয়ে কেউ বেয়াদবি করলে শাস্তি হবে ভয়াবহ। কোরআনে ৬৬৬৬ টি আয়াত এবং ১১৪ টি সূরা।
মৃত্য: প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যু বরণ করতে হবে, এটা স্মরন রাখুন। আল্লাহর হুকুম পালন করে নেককার হলে মরতে পারলে আপনার মৃত্যু সহজ হবে। আল্লাহর হুকুম অমান্য করে বদকার হয়ে মরলে আপনার মৃত্যু হবে ভয়াবহ কষ্টের।
শয়তান: মানুষকে ভাল কাজ থেকে দূরে শয়তান। খারাফ কাজ এবং গুণা থেকে বাচুন। শয়তান থেকে দূরে থাকতে বেশি বেশি এসতাগফার/আসতাগফিরুল্লাহ পড়–ন।
কবর: মৃত্যু পরে কবরে যেতে হবে। চিন্তা করুন অ›ধকার কবরে একা কিভাবে থাকবেন। আপনি জান্নাতী হলে কবরে ঘুমাবেন। আর জাহান্নামী হলে আপনার কবরে আগুন জ্বলবে।